হাকিম বাবুল, শেরপুর: বাল্যবিয়ে কমাতে শেরপুরে প্রশাসন, পুলিশ, এনজিও-সমাজকর্মীদের নানা তৎপরতার মাঝেও বাল্যবিয়ের প্রবণতা থামছেনা। শিক্ষায় অনগ্রসর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেই নয়, খোদ শহর এলাকাতেও থেমে নেই বাল্যবিয়ের আয়োজন। ৪ অক্টোবর রবিবার শেরপুর শহরের উপকণ্ঠ দমদমা মহল্লায় বিয়ের পিঁড়ি থেকে রক্ষা করা হয়েছে স্থানীয় এম.এ পাবলিক স্কুলের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া এক দিনমজুর কন্যাকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চৈতনখিলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে সুজন মিয়ার সাথে শহরের দমদমা এলাকার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের গুঞ্জন চলছিল ক’দিন ধরেই। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় লোকজন জানার পর কন্যা শিশুটির অভিভাবককে বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার বেলা ৩টার দিকে কন্যার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন-প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। বরপক্ষের আগমনের জন্য যখন চলছিল অপেক্ষা, ঠিক তখন সদর থানার ওসি মাজহারুল করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ খবর পেয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাবা সটকে পড়ে। এ সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন ওই বিয়ে বন্ধে অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পায় স্কুলছাত্রীটি।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম বলেন, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ায় কন্যাশিশুটিকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করা গেছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে পুলিশ শেরপুরে সামাজিক সচতনতা বৃদ্ধি, আইনী ব্যবস্থাসহ বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।