প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা জালাল উদ্দিন আহমেদের বড় পূত্রবধূ রাব্বি সুলতানা লিপি চাচাতো দেবরের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত আটটার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস মামলা দায়েরের বিষয়টি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় মোল্লা জালাল উদ্দিনের ভাইপো মাওলনা মোল্লা হেদায়েত হোসেনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। মাওলানা মোল্লা হেদায়েত হোসেন ইসলামী ফাউণ্ডেশনে চাকরি করেন বলে জানা গেছে।
লিপির পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার রাতে লিপির স্বামী কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী হেলালের লাইসেন্স করা শটগান নিয়ে হেদায়েত রসিকতা করতে গেলে গুলি বের হয়ে যায়। লিপির বাম থুতনির উপরে গুলি লাগে। এতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে হেদায়েত পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনার সময় ওই ঘরের মধ্যে নিহতের বোন আখি ও নয় বছরের সন্তান রাফসান উপস্থিত ছিল। খুলনার পুলিশ লাইনের ইস্ট লেনস্থ বাড়ির পঞ্চম তলায় যখন এই হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন সাবেক এমপি মোল্লা জালাল উদ্দিন ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন।
নিহতের স্বামী ও শাশুড়ি হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে রয়েছেন। নিহতের পরিবার থেকে জানানো হয়, ঘটনাটি সৌদিতে কামালকে জানানো হয়েছে। তিনি দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত লিপি তার স্বামীর নামে লাইসেন্স করা শটগান আনলোড করে রাখেন। এমন সময় তার চাচাতো দেবর হেদায়েত মোল্লা রসিকতার করে ঘটনাস্থলে এসে তার মাথার দিকে শটগান তাক করে বলেন: ভাবি দেবো গুলি করে? এসময় ট্রিগারে টিপ দিলে একরাউন্ড গুলি বের হয়ে লিপির মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই লিপি মারা যান। ঘটনার সময় নিহত লিপির ছোট বোনও ওই রুমে অবস্থান করছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহত লিপির ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে।