হাকিম বাবুল, শেরপুর: চারদিন পর শেরপুরে হাত-পা-মুখ বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় মিলেছে।
নিহত ব্যক্তি জামালপুর জজকোর্টের আইনজীবী সহকারী মো. গোলাম মোস্তফা (৬৩)। তিনি জামালপুর শহরের সকাল বাজার এলাকায় থাকতেন এবং এপিপি অ্যাডভোকেট বি.এম. ফজলুল বারী তারা মিয়ার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুরে নিহতের ছেলে আবু নাঈম বিদ্যুৎ ও মো. মাসুদ এবং তার সহকর্মীরা শেরপুর সদর থানায় হাজির হয়ে ছবি এবং পরনের কাপড়-চোপড় দেখে গোলাম মোস্তফাকে সনাক্ত করেন।
গত ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালপুরের সকাল বাজার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর হতেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ৯ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে শেরপুর সদর থানা পুলিশ শেরপুর-জামালপুর সড়কের পাশে মুকছুদপুর এলাকার একটি ছনের ঝোপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পরে জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে ১০ অক্টোবর শনিবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা হিসেবে লাশটি পৌর চাপাতলি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গোলাম মোস্তফার ছেলে জামালপুর শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের ছাত্র আবু নাঈম বিদ্যুৎ বলেন, লাশটি আমার বাবার। থানায় রাখা তার কাপড়-চোপড় ও ছবি দেখে সনাক্ত করেছি। তার পেটের ডানদিকে অপারেশনের দাগ ছিল। হাতে আংটি পর ছিল। তিনি জানান, তার বাবার দুই হাজার টাকা দরকার ছিল। এজন্য বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকেও তার সাথে মোবাইল ফোনে আমার কথা হয়েছে। সাড়ে সাতটার দিকে মোবাইলে কল করার পর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম গ্রামের বাড়ি বকশীগঞ্জ এলাকায় গিয়েছে। কিন্ত তারপর থেকে আর তার হদিস মেলেনি। সোমবার সকালে ফেসবুকে তার লাশের ছবি দেখে শেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করে বাবার লাশের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।
শেরপুর সদর থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম বলেন, শুক্রবার উদ্ধারকৃত অজ্ঞাতনামা লাশটির পরিচয় নিশ্চিত করেছে তার ছেলে এবং পরিবারের লোকজন এবং সহকর্মীরা। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম–লোকটিকে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা পিকআপ ভ্যান কিংবা অন্যকোনো যানবাহনে করে সেখানে ফেলে রেখে যেতে পারে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথযথ আইনানুগ ববস্থা গ্রহণ করা হবে।