গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাস চাপায় মা (২৫) ও তার সাত মাসের শিশু কন্যা মারা গেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের মালেকের বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মা-মেয়ের মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা গাছের গুড়ি ফেলে প্রায় আধাঘন্টা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দিলে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকাগামী সেবা গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে রাস্তা পারাপারে সময় মাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি। তার কোলে থাকা সাত মাসের শিশুকন্যা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা ওই শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, নিহত মা ও শিশু কন্যা পরিচয় ও ঠিকানা এখানো পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় মা ও শিশু কন্যা নিহত
সাতক্ষীরা সদরের ছয়ঘরিয়ার বিশ্বাস বাড়ির মোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসের ধাক্কায় মা ও শিশু কন্যা নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো রাশিদা বেগম (৩৫) ও তার শিশু কন্যা (১০)।
সাতক্ষীরা সদর থানার এ এস আই সোহরাব হোসেন জানান, সাতক্ষীরা থেকে আসা বেবি ট্যাক্সি থেকে ছয়ঘরিয়ার মোড়ে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় সাতক্ষীরাগামী একটি বাস ধাক্কা দিলে মা ও শিশু কন্যার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, মা মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যাচ্ছিল।
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা ও নাতি নিহত
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক দাদা ও নাতি মারা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক আলতাফ হোসেন (৫৫) ও নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম (১১) ভ্যানযোগে গোপালপুর গ্রামে বেড়াতে যাওয়ার সময় বিরামপুর-ঘোড়াঘাট মহাসড়কের দলারদরগার পশ্চিমপাশে একটি দ্রুতগামী ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থলেই দাদা ও নাতি মারা যায়। চালক ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর নিহত দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় মোটরযান আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।