বেলাল হোসেন জুয়েল, লক্ষ্মীপুর: রামগতির মেঘনা নদী থেকে এমভি বিউটি অব ভাগ্যকূল জাহাজের অপহৃত মাস্টার কামরুল ইসলাম (৩৮) ও সুকানি জসীম উদ্দিনকে (২৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে রামগতি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরগাজী এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে।
মাস্টার ও সুকানির বাড়ি বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া এলাকায়।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রামগতির টাঙ্কির খাল এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে নোঙর করা এমভি বিউটি অব ভাগ্যকূল ও এমভি নির্ঝরণ নামে দুটি মালবাহী জাহাজে একদল সশস্ত্র জলদস্যু হানা দেয়। ওই সময় তারা জাহাজ দুটির ১৩ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। একই সময় জলদস্যুরা ভাগ্যকূল জাহাজের মাস্টার কামরুল ইসলাম ও সুকানি জসীম উদ্দিনকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, অপহরণের পর থেকে জাহাজরে মাস্টার কামরুল ইসলামের স্ত্রী মাকছুদা পারভীনের মুঠোফোনে জলদস্যুরা কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। পরে তাদের (মাকছুদা ও জলদস্যুদের) কথপোকথোনের সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাত ১টার দিকে রামগতি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ চরগাজী এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে মেঘনার কুখ্যাত জলদস্যু বাহিনী ‘বাদশা গ্রুপের’ সদস্যরা অপহৃত ওই দুই নাবিককে তাদের আস্তানার কাছে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি আরো জানান, ওই ঘটনায় এমভি বিউটি অব ভাগ্যকূল জাহাজের পাইলট এনামুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জাহাজ কর্মীদের অপহরণের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে নৌযান শ্রমিকরা সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন।