প্রতিনিধি, বাগেরহাট: পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া খালে আজ সকালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সর্দারসহ দুই বনদস্যু মারা গেছে।
নিহতরা হলেন বনদস্যু আকাশ বাহিনীর প্রধান কাশেম ওরফে আকাশ (৪০) ও তার সহযোগী ফরিদ ওরফে মাইজে (৪৫)। তারা বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার বাসিন্দা।
বনের ভিতর তল্লাশি করে ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে চারটি এলজি, পাঁচটি কাটা বন্দুক, ছয়টি একনলা বন্দুক ও দুটি এয়ার রাইফেল। এছাড়া ৩৩টি তাজা কার্তুজ, ১৪৭ রাউন্ড পয়েন্ট টু-টু বোর রাইফেলের গুলি, ২৬৪টি এয়ারগানের গুলি, ৩৬টি কার্তুজের খোসাসহ ধারালো অস্ত্র, চাঁদা আদায়ের কার্ড ও বিপুল খাবার সামগ্রী পাওয়া যায় বনদস্যুদের আস্তানায়।
এদিকে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও বনদস্যু নিহতের ঘটনায় জেলেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা দস্যুদের গডফাদার আর অস্ত্রের যোগানদাতাদের আটকের দাবি জানিয়েছেন।
র্যাব-৮ এর অপারেশন অফিসার ও উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, র্যাবের একটি দল সুন্দরবনে অপহরণ, মুক্তিপন আদায় রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। আজ সোমবার সকালে সুন্দরবনের ভিতর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে বনদস্যুদের আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব সদস্যরা। র্যাবের দলটি আস্তানার দিকে এগুতে থাকলে বনদস্যুরা গুলিবর্ষণ করে প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলি শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী হয় এই বন্দুকযুদ্ধ। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটে যায়।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দুই বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ ও অস্ত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় জেলেরা নিহতদের সনাক্ত করে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও বনদস্যুদের মৃতদেহ বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।