মীর মনিরুজ্জামান,নেত্রকোনা: নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের তুহিন মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রহার করে মারাত্মক আহত করেছেন এক শিক্ষক। প্রাইভেটের দুই শ’ টাকা বাকি পড়ার জিদে পকেটে মোবাইল রাখার ছুতোয় দিনমজুর ওই ছাত্রকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ছাত্রের বাবা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোশারফের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলা করেছেনন।
মোশারফ হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীসহ আহত শিক্ষার্থীর স্বজনেরা।
তুহিন মিয়ার স্বজন, এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার্থী তুহিন মিয়ার কাছে শিক্ষক মোশারফ হোসেন প্রাইভেট পড়ানো বাবাদ দুই শত টাকা পাওনা ছিল। এর জের ধরে সোমবার স্কুলের কোচিং ক্লাসে পকেটে মোবাইল ফোন রাখার অভিযোগ এনে তুহিন মিয়াকে মাথায় আঘাত করে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন ওই শিক্ষক। এসময় তুহিনের মাথা দেওয়ালের সাথে আঘাত করা হয়। ঘটনার পর তুহিনের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে সে। রাতে গুরুতর অবস্থায় তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।
তুহিন মিয়ার বাবা হাবিবুর রহমান দিনমজুর। নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের শিবপ্রসাদপুর গ্রামে তার বাড়ি। শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বাড়ি নেত্রকোনা সদরের গজারিয়া গ্রামে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তুহিনের চিকিৎসা চলছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
নেত্রকোনার পুুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।