আমিনা বিলকিস ময়না, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় প্রবল জোয়ারের চাপে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এক হাজার পরিবার ও চারশতাধিক মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে।
রোববার ভোররাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামের আক্কাজ সানার বাড়ির সামনে থেকে কপোতাক্ষের প্রায় দুইশত হাত বেড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলদী ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালি ও কলিামাখালি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজেদ গাজী, সঞ্জয় দাশ জহুরুল ও ছাইফুল্লাহ জানান, বাধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। রাতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে হঠাৎ করেই বাধ নদী গর্ভে ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার ও চার শাতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে।
তিনি জানান, এখন ভাটা চলছে। সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ বাঁশ ও মাটি দিয়ে বেড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসীর এই দুর্দশা। বারবার বলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাধ সংস্কারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি।
শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা ছাকিল জানান, কোলা বেড়ি বাধ ভেঙ্গে যে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে তার তিনটি গ্রাম রয়েছে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ে শ্রীউলা ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি জানান, স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে বাধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। চলতি ভাটাতেই বাধ সংস্কার করতে না পারলে পুইজালা শ্রীউলা আশাশুনি সদর নাকতাড়া গ্রাম প্লাবিত হবে। তিনি আরও বলেন, বেড়িবাধ ভেঙ্গে গেলেও পানি উন্নয়নের কোনও কর্মকর্তা এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসেননি।
আশাশুনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস.ও আবুল হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। তিনি আরো জানান, তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।