হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: মুকসুদপুরের দিগনগর ইউনিয়নের কানুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলা, ব্যালট বাক্স লুটপাট, প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের আটক করে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১ নারীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের কানুড়িয়া ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অসীম কুমার মৃধা জানান, ৭ মে নির্বাচনের পরে ভোট গণনার এক পর্যায়ে রাত ৭ টার পরে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কাঙ্খিত ভোটের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় তার নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকরা একযোগে ভোট গণনার কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ৪০/৫০ জন প্রবেশ করে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারপিট করে, ব্যালট বাক্স, ব্যালট এবং নির্বাচনের কর্মকর্তাদের সম্মানী এবং তার ব্যক্তিগত নগদ ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। কক্ষের মধ্যে ৪০/৫০ জন ছাড়াও মাঠের মধ্যে শ’দুয়েক লোক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে টহলরহত পুলিশ প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাদের উদ্ধার করে। প্রিজাইডিং অফিসারের প্রতিবেদন মোতাবেক নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ ঘোষাণা করে। যার প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রিজাইডিং অফিসারসহ তার সহকর্মীদের উদ্ধার করলেও খোয়া যাওয়া ব্যালট বাক্স ও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালাসহ পেনালকোড বিধিমালায় মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করাসহ মালামাল ও টাকাপয়সা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
থানার সেকেন্ড অফিসার লিয়াকত হোসেন জানান, এ ব্যাপােের প্রিজাইডিং অফিসার অসীম কুমার মৃধা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলীসহ চিহিৃত ৬৮ জনসহ দুই’শ আড়াই’শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ওই ঘটনার প্রধান আসামি এবং আওয়ামী মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।