ধনবাড়ীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ, বরের বাবার জেল-জরিমানা

আব্দুল্লাহ আবু এহসান, মধুপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী মোছা. মুন্নী আক্তার (১৩)। ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ বজলু জানান, ধনবাড়ী উপজেলার গাড়াখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মুন্নী আক্তার এর সাথে মধুপুর উপজেলার ভবানটেকী গ্রামের সরাফত আলীর ছেলে ফিরোজ আহমেদ (১৮) এর বিয়ের দিন ধার্য ছিল সোমবার।

সে অনুযায়ী (১৩) বছরের নাবালিকা কনেকে বধু সাজিয়ে বিয়ের পিড়িঁতে বাসানো হয়। রান্না বান্নাও শেষ। গাড়ি নিয়ে কনের বাড়িতে বরযাত্রীও হাজির। এমন সময় খবর পেয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আরা রিনি পুলিশ নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। পুলিশ দেখে বরযাত্রীসহ বিয়ে বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ইউএনও বরের বাবা সরাফত আলী ও কনে মুন্নী আক্তারকে আটক করে নিয়ে আসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। মুন্নী গাড়াখালী গ্রামের সোহেল রানার মেয়ে।

কনে মুন্নী আক্তার জানান, তার অমতে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল অভিভাবকরা। সে পড়ালেখা করতে চায়। বরের বাবা সরাফত আলী জানান, মেয়ে না থাকায় সখ করে ছেলেকে বিয়ে করাতে চেয়েছিলাম। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে ইউএনও  শামীম আরা রিনি বরের বাবা সরাফত আলীকে ১ মাসের জেল ও ১ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা ও ধনবাড়ী থানার এসআই আলমঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.