মধুমাসে মৌসুমী ফলের সাথে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস

একেএম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ: জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড তাপদাহে ও ভ্যাপসা গরমে যখন জীবন অতিষ্ঠ তখন গলাটা একটু ভিজাতে ঠান্ডা শুস্বাদু তালশাঁস খেয়ে অনেকেই পিপাসা মিটিয়ে থাকেন। মধুমাস হিসাবে খ্যাত জ্যৈষ্ঠ মাসের সৌখিন খাবারের তালিকায় গ্রামবাংলার মানুষের কাছে অতি প্রিয় এবং পছন্দের নাম ‘তালশাঁস’। প্রচলিত ভাষায় এটাকে ‘তালকুর’ও বলা হয়ে থাকে।

TALKUR NEWS-15-05-16
শুস্বাদু তালশাঁস খেয়ে অনেকেই পিপাসা মিটিয়ে থাকেন

শক্ত তালের কাঁচা আবরণের মধ্যে নরম তুলতুলে শাঁস আর মিষ্টি রসের সমন্বয়ে ফলটি রসনা বিলাসে নতুন একটি মাত্রা যোগ করে। তালশাঁস পছন্দ করেনা এমন মানুষ পাওয়া যায়না। তবে তালশাঁস সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন শিশু এবং বৃদ্ধ বয়সি মানুষেরা। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে তালশাঁস বিক্রেতারা ধাঁরালো দা-ছ্যান ও কাঁচা তাল নিয়ে ফুটপাতে বসে একটার পর একটা অনবরত কেটে ক্রেতাদের হাতে শাঁস পরিবেশন করতে থাকেন।

বিগত দিনগুলোয় তালশাঁসের ৩ চোখ (আঁটি) ২ থেকে ৩ টাকা দরে বিক্রি হলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য ফলমূলের সাথে সংগতি রেখে তাল শাঁসের দামও বেড়েছে। এ বছর পরিণত প্রত্যেকটি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৭ টাকায়। মূল্যবৃদ্ধি পেলেও থেমে নেই তালশাঁসের চাহিদা।

আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের তালশাঁস বিক্রেতা জিয়ারুল জানান, তালশাঁস মৌসুমি ফল, এটা কম বেশি সবাই খান। দিনে ২‘শ থেকে ২‘শ ৫০ পিছ তালশাঁস বিক্রি হয় বলে তিনি জানান। তবে গরম বাড়লে বিক্রিটাও বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.