রতন সিং, দিনাজপুর: মিশর প্রবাসী এক বাংলাদেশী যুবক অপহরণের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সে এখন দেশে ফিরে আসার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর সরকারী কলেজের ছাত্র আব্দুর রাজ্জাক মিশরে প্রবাসী তার বড় ভাই আব্দুল মান্নানকে (৩০) অপহরণের হাত থেকে উদ্ধার করতে তার সহযোগিতা চান।
সূত্রটি জানায়, আব্দুল মান্নানকে মিশর গির্জা দারুসসালাম এলাকা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি অপর বাংলাদেশী নাগরিক টাঙ্গাইল জেলার নাগোরপুর উপজেলার শলিনাবাগ এলাকার মোঃ শামীম অপহরণ করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং অজ্ঞাতস্থানে আটক রাখে। বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের সহায়তায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শামীমের বাড়িতে তার আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
শামীমের আত্মীয়দের মাধ্যমে মিশরে অডিও-ভিডিও ব্যবহার করে শামীমের সাথে প্রশাসন ও তার আত্মীয়-স্বজনেরা অপহৃত আব্দুল মান্নানকে ফেরত দিতে আলোচনা করে। শামীম অপহৃত মান্নানকে ফেরত দিতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে দেশে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে শামীম বাধ্য হয়ে অপহৃত আব্দুল মান্নানকে ১ মে মিশরে বাংলাদেশী দূতাবাসে ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
অপহৃত মান্নান মুক্তি পাওয়ার পর মিশরে বাংলাদেশী দূতাবাসের সহযোগিতায় ভালো আছেন বলে সূত্রটি জানায়। অপহৃত মান্নান নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার রমজান আলীর পুত্র। তার ছোট ভাই দিনাজপুর সরকারী কলেজের ছাত্র আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারে দিনাজপুর ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকদ্বয়ের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপে তার বড় ভাই মান্নান মিশরে অপহরণের পর উদ্ধার হয়েছে। এখন সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে আসার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। কোন জটিলতা ছাড়াই মান্নান উদ্ধার হওয়ায় তার পরিবার প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলমের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসন আন্তরিক হলে বিশ্বের যে কোন দেশেই বাংলাদেশী নাগরিকদের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে তা নিরসন করা সম্ভব। এই পদ্ধতি সকলকে জানার জন্য তিনি আহ্বান জানান।