হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নির্মাণের এক বছর পরও খুলে দেওয়া হয়নি স্লুইস গেট। এ কারণে কৃষকরা উপকার না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়েছে এলাকাবাসী।
এক বছর আগে কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়কের ওয়াপদারহাটে সড়ক ও জনপদের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শফিক ব্রাদার্স ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্লুইস গেটটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে এই স্লুইস গেটটি খুলে না দেওয়ার কারণে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় চিত্রাপাড়া, পূর্বপাড়া, নোয়াদা, দক্ষিণপাড়, শুয়াগ্রাম বিলের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে এলাকায় ব্যহত হচ্ছে মৎস্য চাষ। এ দিকে এই স্লুইস গেটটি দিয়ে পানি চলাচল না করার কারণে এই এলাকার খাল-বিলের পানি নষ্ট হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে আশপাশের এলাকার মানুষজন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
চিত্রপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখ বলেন, স্লুইস গেটটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় গত মৌসুমে আমাদের বিলে বোরো আবাদ কম হয়েছে। এখন পানি না থাকার কারণে আমরা মাছের চাষ করতে পারছি না।
আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, এই স্লুইস গেটটি বন্ধ থাকায় এলাকায় মাছ ও ধানের আবাদ ব্যহত হচ্ছে। আমি জনস্বার্থে দ্রুত এই স্লুইস গেটটি খুলে দেবার দাবি জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম ডি মাইনউদ্দিন সাংবাদদিকদের জানান, কৃষকের উপকারের জন্যই এটি তৈরি করা। দ্রুতই এই স্লুইস গেটটি খুলে দেবার ব্যবস্থা করবো।