গফরগাঁওয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগে অব্যবস্থা

আতাউর রহমান মিন্টু, গফরগাঁও (মযমনসিংহ): গফরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগকে কেন্দ্র করে অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। একই ব্যক্তিকে একাধিক ভোট কেন্দ্রের পোলিং অফিসার নিয়োগ, প্রশিক্ষণ দিয়েও অনেককে নিয়োগ না দেওয়া আবার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
৬ষ্ঠ ধাপে গফরগাঁও উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১৫টি ইউনিয়নের জন্য ৭ জন রির্টানিং কর্মকর্তা, ১৪৩টি কেন্দ্রের ৭৪৪টি বুথে ১৪৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৭৪৪ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৪৮৮ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের দুইদিন আগেও বুধবার সারাদিনই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দেখা গেছে, পোলিং অফিসার ও সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারদের ভীড়। তারা জানান, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা দেওয়া হলে, তারা প্রশিক্ষণও নেন, এখন অনেকের নাম তালিকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি মূহুর্তে পরিবর্তন হচ্ছে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদেরদের নামের তালিকা।

কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তিকে একাধিক ভোটকেন্দ্রের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শাহেদা পারভীন নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে পাঁচবাগ ইউনিয়নের উওর লামকাইন, লামকাইন দ্বিমুখী ও গাভীশিমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষিকা আফিফা আফরোজকে উস্থি ইউনিয়নের কান্দিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লংগাইর ইউনিয়নের হাতেমতাই উচ্চ বিদ্যালয়ের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাতৃত্বকালিন ছুটিতে থাকা সৈয়দা রাবেয়া আক্তারকে গফরগাঁও ইউনিয়নের উথুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে, রোকসানা বাহারকে পাইথল ইউনিয়নের শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছুটিতে থাকায় তারা নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণও নেননি।

কান্দিপাড়া আস্কর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন তোতা মিয়াকে একাধারে পাঁচবাগ ইউনিয়নের শাঁখচূড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং লংগাইর ইউনিয়নের লংগাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তাদের সম্বন্বয়হীনতার কারনেই এ হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উস্থি ও পাঁচবাগ ইউনিয়নের রির্টারিং কর্মকর্তা ও উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা জাবির ইবনে হাফিজ জানান, প্যানেল তৈরি করে আমাদেরকে নিয়োগের পুরোপুরি ক্ষমতা দিলে এই সমস্যা হতো না।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছাঃ জুবাইদা খাতুন বলেন, তিনি যে তিনটি ইউনিয়নের রির্টানিং কর্মকর্তা সেখানে কোন সমস্যা নেই। বাকী ইউনিয়নগুলোতে যে সমস্যা আছে সে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.