জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: বাড়িঘড়ে হামলা, প্রতীকে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও হুমকি ধামকির মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতময় হয়ে উঠেছে শৈলকুপা উপজেলা। ১৪টির মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। হুমকি ও সন্ত্রাস সৃষ্টির ফলে বিএনপি প্রার্থীরাও কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।
শৈলকুপার মীর্জাপুর ইউনিয়নের মান্দারীপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নায়েব আলী খন্দকার নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। উপজেলার কাঁচেরকোল, দিগনগর ও দুধসর ইউনিয়নে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নৌকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ত্রাস সৃষ্টি ও পুলিশের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তার আহম্মেদ মৃধা। তিনি আবাইপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ছিলেন।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন শৈলকুপার ওসি মহিবুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রত্যাহার করেছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, শৈলকুপার ১৪০টি ভোট কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। শৈলকুপার ১৩ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র প্রার্থী রয়েছে। বর্তমান প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন ।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। সে সাথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তারাও কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে কোন রকম বিশৃঙখলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে কঠোরভাবে দমনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিজিবি ও র্যাবের টহলের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত।