জনগণকে দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মিলটনের

আমিনুর রশীদ মিলটন। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে পদার্পণ। ১৯৯৩ সালে পিরোজপুরের কাউখালী মহাবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আর ২০০৩ সাল থেকে ১০ বছর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। ২০১৫ সালে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০১৬ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। ২০১১ সালে কাউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনেও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে। কাউখালীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নে নিজের ভাবনা নিয়ে আমিনুর রশীদ মিলটন কথা বলেছেন রবিউল হাসান রবিনের সঙ্গে।

“গত মেয়াদে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাউখালী সদর ইউনিয়নের উন্নয়ন করতে না পারলেও এবার উন্নয়ন করতে পারবো বলে আশা করছি। সর্বপ্রথম উপজেলা সদরের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবো।” কাউখালী সদর ইউনিয়নকে ডিজিটাল, স্মার্ট, গ্রিন ও ক্লিন ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন এ ইউনিয়নের দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন।

aminur rashid miltan
আমিনুর রশীদ মিলটন।

তিনি বলেন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার আধুনিকায়নসহ জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অসম্পূর্ণ অন্যান্য কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করবো। সোলার বাতির মাধ্যমে আলোকিত শহর গড়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কাউখালী গড়তে চাই।

সম্প্রতি কাউখালী ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন বলেন, ইউনিয়নবাসীর সেবার লক্ষ্যে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি। জনগণকে যে স্বপ্ন দেখিয়ে আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চাই। আর আমি বিশ্বাস করি সেটা আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আমার  সৌভাগ্য যে প্রিয় দলের প্রিয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পেরেছি। এ জন্য জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তিনি যে আস্থা ও বিশ্বাসে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন, বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি সে মর্যাদা রাখতে সক্ষম হয়েছি। এ জন্য কাউখালী ইউনিয়নবাসীকেও অভিনন্দন জানাই।

নির্বাচনী এলাকার ১১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে নয়টিতেই প্রথম হন তিনি। দুটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় হন। মিলটন মনে করেন, এলাকার বেশিরভাগ ভোটারই আমাকে  ভোট দিয়েছেন। ফলে সব এলাকার উন্নয়নই অগ্রধিকার পাবে।

ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে দায়িত্ব পালন ছাড়াও কাউখালী মহাবিদ্যালয় ও কাউখালী মহিলা কলেজের গভার্নিং বডির সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মিলটন।

আমিনুর রশীদ মিলটন বলেন, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছিলাম। ২০১১ সালের ২৯ মার্চ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আমি ৩নং কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি। এ কারণে এলাকার মানুষ আবারো দ্বিতীয়বারের মতো আমাকে নির্বাচিত করেছেন।

ঠিকাদারি পেশায় নিয়োজিত এ চেয়ারম্যান  স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.