হাকিম বাবুল, শেরপুর : প্রসবপরবর্তী স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদার করতে শেরপুরে সোমবার জেলা পর্যায়ে দিনব্যাপী কর্মশালা হয়েছে। এতে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্ব্যবহারযোগ্য ইমপ্ল্যান্ট, আইইউডি এবং স্থায়ী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি এনএসভি, টিউবেকটমি সম্পর্কে জানানো করা হয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রাম, সূর্যের হাসি প্রজেক্ট-২ এবং এনজেন্ডার হেলথ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে কর্মশালাটি আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মো. দেলোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মাঝে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাহমুদুর রহমান, পরিবার পলিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. পীযুষ চন্দ্র সূত্রধর, সহকারী পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এনজেন্ডার হেলথ সমন্বয়কারী মো. আব্দুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বলা হয়, জন্মহার অনুযায়ী প্রতিবছর দেশে ২০ লাখ লোক বাড়ছে। এভাবে জনসংখ্যা বাড়লে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি। এজন্য এখন থেকেই সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। কর্মশালায় দম্পতিদের দুটি সন্তানের বেশি যেন না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়।
বক্তারা স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ গ্রহণকারী ও দীর্ঘমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার বাড়ানোর উপর জোর দেন। কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিভাগের ব্যক্তিরা অংশ নেন।