প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যার ঘটনায় কলেজছাত্র এনামুল হকের কাছ থেকে নির্যাতনের মাধ্যমে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার ঝিনাইদহে এক সংবাদ সম্মেলনে এনামুলের বোন শাহনাজ আক্তার এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহনাজ বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। যা পুলিশের মিথ্যা বক্তব্য ও কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে। তাকে হাজির করে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এনামুলকে গত ২০ জুন সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গাবতলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সে ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যা পুরোটাই পরিকল্পিত মিথ্যাচার।’
মূলত এনামুল হকসহ আরো দুই ছাত্রকে গত ১৬ জুন দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ছয়তলা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়। অথচ পুলিশ তাকে বেআইনিভাবে আটক রেখে পরে হাজির করে স্বীকারোক্তির নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেন শাহনাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা ও এলাকাবাসী সাক্ষী, এনামুল কখনোই এমন ঘৃণ্য কাজের সাথে জড়িত নয়। তাছাড়া এমন জলজ্যান্ত মিথ্যাচার কেউ বিশ্বাস করেনি।’
শাহনাজ আরো বলেন, ‘পুলিশ ও সরকার যদি নিরপরাধ ছাত্রদের রক্ষার বদলে তাদের ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠে তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ যাব কোথায়? শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার ভাইয়ের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে আমার ভাইয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
এনামুলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তার পড়া-লেখা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান শাহনাজ।