জাহিদুর রহমান তারিক, হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ): ছুটি না নিয়েই দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এতে অফিসের কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলার শিক্ষক ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে প্রায় তিন বছর আগে হরিণাকুন্ডুতে যোগদান করেন এস এম নূর-এ এলাহী।
যোগদানের পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, অহেতুক শিক্ষকদের কারণ দর্শানো, শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া, শিক্ষকদের নামে ডিডি করা ও ক্লাস্টার মিটিংয়ে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কম দেওয়াসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠে এ শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
একজন সহকারী শিক্ষককে বিনা কারণে বদলি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তা আমাদের সাথে অকারণে খারাপ আচরণ করে থাকেন। শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি ও তাদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অর্জিত ছুটি শেষ হলেও কাজে যোগ না দেওয়ায় অফিসের কাজকর্ম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। একজন শিক্ষককে দিয়ে তার কাজগুলো করানো হচ্ছে। ওই কর্মকর্তাকে নিয়ে অনেক গুজবও শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি একজন সহকারী শিক্ষককে কারণ ছাড়াই তিনি শোকজ করেছেন।
নুর-এ এলাহী শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের ভয় দেখান। তিনি কেন এ দুজন কর্মকর্তার ভয় দেখান এটি এখন সাধারণ শিক্ষকদের কাছেও প্রশ্ন।
তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালের বার্ষিক পরীক্ষার সহ-পাঠ্যক্রমিক প্রশ্নে ২০১৬ সালের ১ম সাময়িক পরীক্ষা নেন তিনি। হাতে লিখে এবং ফটোকপি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রায়ই শিক্ষকদের রান্না করে খাবার নিয়ে আসতে বলেন তিনি।
এসব বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএম নুর-এ এলাহীর কাছে ফোনে জানতে চাওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন রঞ্জু বলেন, ২৯ জুন নূর-এ এলাহী মৌখিকভাবে আমাকে জানিয়েছেন। তবে তিনি কোনো লিখিত আবেদন দেননি অফিসে। কবে অফিসে আসবেন তাও তিনি বলতে পারছেন না।
তবে এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, লিখিতভাবে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শোকজ করাসহ প্রয়োজনীয় আাইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।