জাহিবা হোসাইন, মোংলা (বাগেরহাট): মোংলা বন্দরের বিএফডিসি জেটিতে বনদস্যু ইলিয়াস ও মজনু বাহিনীর ১১ সদস্য ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ২০ রাউন্ড গুলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যাশায় এসব দস্যু আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। আত্মসমর্পণকারীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে আত্মসমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, সুন্দরবনে যারা দস্যুতা করতো তারা তাদের কৃতকর্মের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিজ্ঞা করেছে। যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে কাজকর্ম করতে পারে।
আত্মসর্মণ করেনি এমন দস্যুদের আত্মসমর্পণের আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সমস্ত বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত, দস্যুমুক্ত করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা কোনো জায়গায় সন্ত্রাস ও দস্যুতা করতে দেব না। এ জন্য পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া দস্যুদের আশ্রয়দাতা ও অস্ত্র সরবরাহকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, সুন্দরবন আমাদের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ। এ অঞ্চলে বনদস্যু নিপাত করতে সরকার কাজ করছে। অনেক বাহিনী প্রধান র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৭০০ অস্ত্র। প্রায় ২০০ দস্যুকে আটক করা হয়েছে। মাস্টার বাহিনীর দেখাদেখি মজনু ও ইলিয়াস বাহিনী শুক্রবার দুপুরে আত্মসমর্পণ করেছে। যারা আত্মসমর্পন করেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য সহায়তা করা হবে।
এদিকে আত্মসমর্পণকারী মজনু ও ইলিয়াস বলেন, ভুল বুঝতে পেরে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে খুলনা ও বাগেরহাট প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।