মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): কলাপাড়ায় এক নারীর মৃতদেহ হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামী আর শ্বশুর। মঙ্গলবার দুপুরে মিশ্রীপাড়া গ্রামের লিমা (২০) নামের ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী তুহিন ও শ্বশুর শহিদ। পরে মৃতদেহ বারান্দায় রেখে পালিয়ে যান তারা।
কলাপাড়া হাসপাতালে আনার পরও লিমা বেঁচে ছিল বলে জানান লিমার খালাতো ভাই রেজাউল। তিনি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধও এনে দেন। লিমার মৃত্যু ঘটলে স্বামী-শ্বশুর পালিয়ে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিমার মুখে কীটনাশকের আলামত পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি জি এম শাহনেওয়াজ হাসপাতালে এসে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন। লিমা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যার পর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়েছে তা ময়নাতদন্তে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানায়। স্বামী-শ্বশুরের পালিয়ে যাওয়ায় নিহতের স্বজনরা লিমাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন।
লিমার স্বজনরা জানায়, চার বছর আগে লতাচাপলী ইউনিয়নের মিশ্রীপাড়া গ্রামের শহিদ চৌকিদারের ছেলে তুহিন হাওলাদারের সাথে লিমার বিয়ে হয়। লিমা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হলদিবাড়িয়া গ্রামের ফারুক সরদারের মেয়ে। বিয়েতে তার বাবা স্বর্ণালংকার, খাট, শোকেস, আলনাসহ বিভিন্ন জিনিস দেন। তবে বিভিন্ন সময়ে মামুলি ব্যাপার নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক কলহ হয়েছে।
লিমার মা সাহিদা বেগম জানান, তুহিন তাদের ফোন করে জানায় যে লিমা অসুস্থ। তাকে তুলাতলী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত তারা ওই হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন লিমাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া হাসপাতালে এসে তারা দেখেন প্রাণহীন লিমা হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে আছে। কী কারণে লিমার মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে স্বামী-শ্বশুর পালিয়ে গেছে তার তদন্ত চেয়েছেন স্বজনরা।