রতন সিং, দিনাজপুর: ঘোড়াঘাট উপজেলায় পর পর তিন রাতে ২১টি গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরির বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো মামলা নেয়নি। পুলিশ বলছে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে, গরু উদ্ধারের পর মামলা নেওয়া হবে।
তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ একটি গরুও উদ্ধার করতে পারেনি। গরু চুরি ঠেকাতে এলাকার কৃষকরা রাত জেগে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দিবাগত রাতের মধ্যে এসব গরু চুরি হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শামীম হোসেন জানান, গরু চুরির বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তার কাছেও অভিযোগ করেছেন। তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য এবং চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে জানা গেছে, শনিবার রাতে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার খোদাদাদপুর গ্রামের আব্দুস সোবাহান খানের আটটি ও তার ভাই হায়দার আলী খানের তিনটি গরু চুরি হয়। চোরেরা তাদের বাড়ির প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে গোয়ালঘরের দরজা ভেঙে ১১টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।
একই রাতে সিংড়া গ্রামের আপেল মিয়ার চারটি গরু চুরি হয়। চোরেরা তার বাড়ির দরজার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে গরু চুরি করে।
শুক্রবার রাতে খোদাদাদপুর গ্রামের রেজাউল করিমের চারটি গুরু চুরি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আবিরেরপাড়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার দুটি গাভী চুরি হয়।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী জানান, চুরি যাওয়া গরুর বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। গরু উদ্ধার করে মামলা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগগুলো থানায় রয়েছে।