স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): জনসমক্ষে ঘুষ গ্রহীতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর ঘুষের টাকা ফেরত পেয়েছেন এক ভুক্তভোগী। শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এক সভায় জমি খারিজের জন্য বাধ্য হয়ে দেওয়া ঘুষের অভিযোগ আনা হলে দুই হাজার টাকা ফেরত পান অভিযোগকারীর ভুক্তভোগী আত্মীয়।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো এবং সন্ত্রাস-নাশকতা প্রতিরোধ বিষয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের মুখোমুখি করে পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো বিভিন্ন কার্যালয় সম্পর্কে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য উপস্থিত জনতাকে আহ্বান জানান।
ঈশ্বরদী ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান সভায় পৌর তহশিলে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি তার এক আত্মীয়ের জমি খারিজের জন্য পৌর তহশিল অফিসের কর্মচারীরা ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই আত্মীয় নগদ ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন এবং অবশিষ্ট আট হাজার টাকা জমি খারিজের পর প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাাসক (রাজস্ব) মোস্তাক আহমেদের নির্দেশে ঈশ্বরদী পৌর তহশিল কার্যালয় থেকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ নেওয়াজ। ভূমি কমিশনারকে দোষী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মোস্তাক আহমদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর তহশিলের কর্মচারী সোহেল হোসেনের মাধ্যমে শিক্ষকের ভুক্তভোগী আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুষের দুই হাজার টাকা ফেরত পাঠানো হয়।
শিক্ষক আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার আত্মীয় ঘুষের দুই হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন। তবে এখনো জমির খারিজ সম্পন্ন হয়নি। সহকারী কমিশনার জাহিদ নেওয়াজ জানান, বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর তহশিলে কোনো তহশিলদার নেই। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।