মিলন কর্মকার রাজু: কলাপাড়া (পটুয়াখালী): দীর্ঘ ১৭ ঘন্টা পর পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া কলেজছাত্র প্লাবন আহমেদের (১৯) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
শনিবার সকাল ছয়টায় সৈকত থেকে এক কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে তার মৃতদেহ আটকা পড়ে। খবর পেয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় প্লাবনের লাশ উদ্ধার করে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে বন্ধু নেওয়াজের সাথে গাড়ির টিউব (লাইফবয়া) নিয়ে সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের তোড়ে বয়া থেকে হাত ফসকে সমুদ্রে তলিয়ে যায় প্লাবন। স্থানীয় জেলে, পর্যটক, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সাগরের বিভিন্ন মোহনায় সন্ধান করলেও প্লাবনের খোঁজ পায়নি। স্থানীয় জেলেদের ধারণা, ভাটার টান প্লাবনকে গভীর সমুদ্রে টেনে নিয়ে যায়। শনিবার ভোরে জোয়ারে আবার ভেসে আসা মৃতদেহ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মীর ফসিউর রহমান জানান, মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে প্লাবন তার বন্ধু নেওয়াজের সাথে শুক্রবার দুপুরে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুজির পর শনিবার সকালে জেলে নুরুজ্জামানের জালে তাঁর লাশ উদ্ধার হয়। প্লাবন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
কলাপাড়ার মহিপুর থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, নিহতের পিতা মোশারফ হোসেন কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্লাবনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্লাবনের লাশ মাগুরায় পাঠানো হয়।