আব্দুল্লাহর লাশ নিতে রাজি নয় পরিবার

রতন সিং, দিনাজপুর: রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশি অভিযানে নিহত দিনাজপুরের মোতালেব ওরফে আব্দুল্লাহ গত এক বছর থেকে নিখোঁজ ছিল। তখন থেকে পরিবারের সঙ্গে তার দেখা নাই, তবে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পরিবার তার লাশ নিতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে।

দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলায় বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, পত্রিকা ও টেলিভিশনে ছবি দেখে তার পরিবারের লোকজন তাকে চিনতে পারে। পরিবারের লোকজন জানান, তাদের সন্তান জঙ্গি ছিল এটি তারা বিশ্বাস করতে পারছে না। এদিকে পুলিশ রাতে আব্দুল্লাহর বাবা এবং বড় ভাইকে ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে বল্লভপুর গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়ি। সে জঙ্গি ছিল এ খবর শুনে এলাকার মানুষ ভীড় করছে তার বাড়িতে। আব্দুল্লাহ ছয় ভাইবোনের মধ্যে ৪র্থ। তার পরিবারের সকল সদস্যই নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ এক বছরের বেশি সময় ধরে বাড়িতে আসত না। আব্দুল্লাহ মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো। প্রথমে হাকিমপুর হিলি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও পরে নওগাঁর আলাদিপুর মাদ্রাসা এবং নারায়ণগঞ্জের রুপপুর ফাজিল মাদ্রাসায় পড়াশুনা করতো।

পরিবারের লোকজন আরো জানায়, আশা ছিল আব্দুল্লাহ বড় হয়ে মৌলানা হবে। জঙ্গি হবার কথা শুনে তারা অবাক হয়েছে। তার মৃতদেহ নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্যরা।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানায়, আব্দুল্লাহ প্রায় এক বছর আগে থেকে নিখোঁজ হয়। তবে পুলিশের তৈরি করা নিখোঁজের তালিকায় তার নাম নেই। তিনি আরো বলেন, নিহত আব্দুল্লাহর বাবা এবং ভাইকে আটক করে ঢাকা পাঠানো হয়েছে ডিএনএ টেস্টের জন্য। অন্যদিকে আব্দুল্লাহ জঙ্গি হওয়ায় বল্লভপুর গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.