জাহিবা হোসাইন, মংলা (বাগেরহাট): যুবলীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলায় মংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারীদের প্রধান মিজানকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার পর থেকে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্র ও বহিরাগতদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী, মংলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক জানান, ক্লাস চলাকালে কলেজ ভেতরে প্রবেশ ও গেটের সামনে বহিরাগতদের আড্ডা না দেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হয়। তারপরও বহিরাগতরা কলেজে প্রবেশ ও গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্গলা সৃষ্টি করে আসছে। রোববার দুপুরেও কলেজের সামনে থেকে সব বহিরাগতদের চলে যেতে বলা হয়। তারা সরে না গিয়ে যুবলীগ নামধারী শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাখন মিজানের নেতৃতে সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সানি, সহ-সভাপতি রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক সোহেলের উপর হামলা চালায়। মাখনের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানি, রাসেল ও সোহেলকে গুরুতর জখম করে।
দুপুরে মাখন মিজানকে কলেজের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। মাখন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। মাখন দীর্ঘদিন ধরে কলেজ রোডসহ আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ আছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তিনি একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেল খেটেছেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে মংলা থানার এস আই মনজুর এলাহি বলেন, মাখনের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত (রোববার বিকেল) কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।