রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): সন্ধ্যা ও কচা নদীর জোয়ারে কাউখালী উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে নদী দুটির তীরবর্তী অন্তত ১৫টি গ্রাম ভাঙনের কবলে পড়েছে।
কাউখালী বিআইডব্লিউটি এর গেজ পাঠক মো. হাবিবুর রহমান আলো জানান, জোয়ারে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, কাউখালীর জোলাগাতি, পাংগাশিয়া, বেকুটিয়া, আমরাজুড়ি, অশোয়া ও সোনাকুর পাল পাড়ায় তীব্র নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙনে সোনাকুর কুমারপাড়ার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
অমাবস্যার জোয়ারে সন্ধ্যা নদীর পানি উপচে কাউখালী শহরের উত্তর বন্দর, লঞ্চঘাট এলাকা, কুমিয়ান ও কচুয়াকাঠি ও আসপর্দি মহল্লা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়।
আমরাজুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা চান জানান, কুমিয়ান এলাকার খাদ্যগুদাম ও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় জোয়ারের প্লাবনে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকা হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এছাড়া কাউথালী-স্বরূপকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।উপজেলার কচুয়াকাঠি কাজী হারুন অর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিথীকা রায় জানান, গত দুই দিনে সন্ধ্যা নদীর জোয়ারের প্লাবনে স্কুল মাঠ তলিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ে। এতে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে।