রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি এলাকায় গতকাল শনিবার দুপুরে এ ধর্ষণের শিকার হয় ছাত্রীটি (১৪)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার দিকে ওই স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই কিশোরীকে জোর করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আসাদুল ও রাজু নামের দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। তাদের সহযোগিতা করে উজ্জ্বল, সৈকত ও রাকিব নামের আরো তিন যুবক।
কিশোরীর ভাষ্য, ‘ছেলেগুলো আমাকে ধরে জোর করে ওই বাড়ির জালালের ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে তখন জালালের ছেলে উজ্জ্বল ছাড়া আর কেউ ছিল না। সেখানে আমাকে আসাদুল ও রাজু ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আমাকে উলঙ্গ করে রাজুর মোবাইল ফোনে আসাদুল ছবি তোলে। এরপর ওরা বলে যে, এ কথা কাউকে জানালে এ দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পরে আমি বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানাই।’
কাউখালী থানার পুলিশ কিশোরীকে পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। রাতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয় বলে জানান হাসপাতালের ডা. ফারহানা রহমান।
পিরোজপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেচ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ননী গোপাল রায় বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষার পর আজ রোববার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শনিবার রাতে মেয়েটির বাবা দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।