বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের শিল্প এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের একটি পুরাতন বার্জের ম্যানহোলের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে এক চীনা নাগরিকসহ দুই জন মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ৩ জন। তাদেরকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের জেটিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছেন, চীনা নাগরিক ঝেং সং (৫০) ও রামপালের ঝনঝনিয়া এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র মাসুদ শেখ (৪০)। ঝেং সং বাংলাদেশে কর্মরত সিনো হাইড্রো কোম্পানির একজন টেকনেশিয়ান।
বসুন্ধরা গ্রুপের মোংলা প্রজেক্টের জিএম মেজর (অবঃ) সাকির আহমেদ জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্টের কাঁচামাল ফ্লাই এ্যাশ বহনকারী একটি পুরাতন বার্জ বিক্রির জন্য নিলাম ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থান করা সিনো হাইড্রো কোং নামের একটি চায়না কোম্পানির প্রতিনিধি মিঃ ঝেং সং (৫০) বার্জটি সরেজমিনে দেখতে আসেন। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে বার্জটির ম্যানহোল খুলে তিনি হ্যাচের ভিতরে ঢুকলে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের অপর এক কর্মচারী মাসুদ শেখ (৪০) হ্যাচের মধ্যে নামলে তিনিও অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে যান। পরে বসুন্ধরার নিজস্ব উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় ওই ২ জনকে উদ্ধার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকালে বসুন্ধরা গ্রুপের অপর ৩ কর্মচারী অসুস্থ হয়েছেন। এরা হচ্ছেন, ইসমাইল (৪০), সাইফুল (৩৫) ও বেল্লাল (২২)। এদেরকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় অসুস্থ বেল্লাল জানান, তিনি ওই সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ফায়ারকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। ঘটনার পর ম্যানহোলের ভেতরে আটকে পড়া বিদেশীসহ দু’জনকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে মংলা বন্দর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোঃ আব্দাল হামিদ জানান, বিষাক্ত কার্বনডাই অক্সইড গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে বিদেশীসহ দু’জন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মংলা থানার ওসি শেখ লূৎফর রহমান বলেন, মংলা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে।