তুচ্ছ ঘটনায় নির্মমতার শিকার হলেন শেফালী বেগম

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): ছাগলে ঘাষ খাওয়ার তুচ্ছ অপরাধে তিন সন্তানের জননী শেফালী বেগমকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ ফুট দুরে ডেকে নিয়ে দিনে-দুপুরে রাস্তায় ফেলে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে।  এ ঘটনায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী নির্যাতনে অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে শেফালী বেগম (৪৫)। একই গ্রামের হাইউল হাওলাদার (৩৫) এমন নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। অচেতন অবস্থায় শেফালীকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেরুদন্ডের আঘাতের কারণে তার সমস্যা হচ্ছে। বার বার বমি করছে। ওঠা বসা করতে পারছে না। বার বার অচেতন হয়ে পরছে।

kalapara pic- (09-08-16)  Sefali Begum
নির্যাতনের শিকার হলেন শেফালী বেগম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালী গ্রামে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এ গৃহবধুকে বর্বর কায়দায় মারধর করা হয়। অভাবগ্রস্ত পরিবারটি তার চিকিৎসা করতে সমস্যায় পরেছে।

শেফালী বেগমের স্বামী ছোবাহান গাজী জানান, তার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে এমন মারধর করা হয়েছে যা এলাকার লোকজন আগে কখনও দেখেননি। মারধরের ফলে বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোমরের হাড়ে সমস্যা হয়েছে। প্রস্রাব করতে সমস্যা হচ্ছে। বার বার বমি করছে। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন না তার স্ত্রী। তিনি এর বিচার দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে শেফালী বেগম। খাওয়া-দাওয়া নেই। বমি করছে।

কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেফায়েত হোসেন জানান, এক্স-রে রিপোর্ট পুরোপুরি না দেখে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শরীরে আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।

কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত কোনও অভিযোগ দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.