জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: দুর্নীতির অভিযোগের কারনে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল মোত্তালেব সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায় ডিজি অফিসের সহকারী পরিচালক (সংস্থাপন) নাসরিন পারভিন নুপুর অভিযোগ তদন্তে গত বুধবার ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে আসেন। এ সময় তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। নাসরিন পারভিন নুপুর বলেন তদন্ত করে এর প্রতিবেদন দেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি।
চাকলা পাড়ার কমল কুমার অভিযোগ করেন, পাসপোর্ট করতে অফিসে গেলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
কোটচাঁদপুরের লক্ষিপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন, পাসপোর্ট করতে এসে তিনি ঘুষ না দেওয়ায় দুই সপ্তাহ ঘুরেছেন। ঘুষ না দিলে এ ভুল সে ভুল ধরে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের চরম ভাবে হয়রানি করা হয় বলেও তিনি জানান।
মহেশপুর এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশ শর্তে জানান, টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়। জরুরি পাসপোর্ট করতে গেলে সরকারী ফি বাদেও ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন।
তারা বলেন আবদুল মোত্তালেব সরকার পাসপোর্ট প্রতি ৯০০ টাকা ঘুষ আদায় করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মোত্তালেব সরকার বলেন নাসরিন পারভিন নুপুর নিয়মিত পরিদর্শনে এসেছিলেন।