মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ গোটা উপকূলীয় এলাকার জেলেদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। সাগর ও নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে পল্লীগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। ব্যস্ত সময় পার করছে আড়ৎ ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, শুধুমাত্র মহিপুর থেকে গত কয়েকদিনে তিন হাজার মণ ইলিশ মাছ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এফবি টিপু-২ নামের একটি ট্রলার একবারে ১৫৮ মণ ইলিশ পেয়েছেন। ওই মাছ প্রায় ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
মৌসুমের শুরুতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও এ বছর ইলিশের দাম বেশ চড়া। ৪০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সাইজের ইলিশ ১১/১২ থেকে ১৪/১৫ হাজার টাকা মন এবং একটু বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ হাজার টাকা মণ দরে। একই দৃশ্য আলীপুর মৎস্য বন্দরসহ কুয়াকাটায়।
কুয়াকাটার ঘরামী ফিস-ঝুমা ফিস আড়তে দেখা গেছে ইলিশে সয়লাব। এই আড়ত ছাড়াও উপজেলার লক্ষ্মীর বাজার, চাপলীর বাজার, গঙ্গামতির ধোলাই বাজার, কাউয়ারচরের বটতলা, ধুলাসার, বাবলাতলা, ঢোস, ব্যুরোজালিয়া, মুন্সিপাড়া, চারিপাড়া, দেবপুর, পাটুয়া, খালগোড়াসহ সব কয়টি ছোট বড় মোকামের প্রায় এক শ’ আড়তে এখন ইলিশের আমদানি রয়েছে।
অধিকাংশ আড়ত মালিক জানান, এবছর যে পরিমান ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে সবাই লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছে। অনেকে অর্ধকোটি টাকা পর্যন্ত লাভে পৌঁছেছেন। আড়ত মালিক, ট্রলার মালিকসহ জেলেদের হিসাব অনুসারে প্রতিদিন কলাপাড়ার বিভিন্ন স্পট থেকে অন্তত চার হাজার মণ ইলিশ দেশের বিভিন্ন বাজার চালান হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, মা ইলিশ রক্ষায় এবং জাটকা নিধনরোধে মৎস্য অফিসের পরিকল্পিত উদ্যোগে পাওয়া সুফলে জেলেরা প্রচুর ইলিশ পাচ্ছে।