খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার ভদ্রা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবে গেছে। অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধারকৃত বাবা ও মেয়েকে আশংকাজনক অবস্থায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার সীমান্তে ভদ্রা নদীর মাঝামাঝি ট্রলারটি ডুবে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে বিশ্বজিৎ হালদার (৪০) ও অজ্ঞাত (৫০) আরেকজন ব্যক্তিসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাইকগাছা উপজেলার ফুলবাড়ি ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার দুপুর ১২টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোয়াড়িয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ভদ্রা নদীর মাঝামাঝি এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নদীতে থাকা অন্যান্য ট্রলার ও নৌকা নিয়ে মাঝিরা এসে তাৎক্ষণিকভাবে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
খবর পেয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাইকগাছা উপজেলার কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ হালদারের ছেলে বিশ্বজিৎ হালদার এবং অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেন।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক লিয়াকত হোসেন জানান, দুটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। কতজন নিখোঁজ রয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে দুজন নিখোঁজের খবর রয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে অভিযান ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে নদী থেকে উদ্ধারের পর পাইকগাছা উপজেলার লক্ষ্মিখোলা গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ গাইন (৪০) ও তার মেয়ে চুমকি গাইন (১০) অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় পাইকগাছা উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিমন মন্ডল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ট্রলারে ৪০ থেকে ৫০জন ধারণ ক্ষমতা থাকলেও শতাধিক যাত্রী বহন করা হচ্ছিল। ফলে প্রবল স্রোতে পড়ে সেটি ডুবে যায়। ঘাটটি পরিচালনা করেন বটিয়াঘাটা উপজেলার ইজারাদার হাশেম মলঙ্গী।