স্বপন কুমার কুন্ডু,পাবনা: পাবনার সুজানগরে ভুয়া সনদধারী একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ওই পদে থেকে ছয় বছর ধরে বেতন-ভাতাও তুলছেন। সুজানগরের সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের নাম এ কে এম শামসুল আলম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, এ কে এম শামসুল আলম সাতবাড়িয়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক থেকে ২০১১ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে কমপক্ষে দুটি দ্বিতীয় বিভাগসহ বিএড সার্টিফিকেট থাকতে হয়। অথচ তিনি সব পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণিসহ ভুয়া বিএড সার্টিফিকেট উপস্থাপন করে ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। অভিযোগকারীরা আরো জানান, নিয়োগ লাভের পর প্রধান শিক্ষক আজ পর্যন্ত মূলসনদ দাখিল করেননি। তাঁর দাখিলকৃত বিএড সনদের ফটোকপি দেখে বোঝা যায়, তিনি অনুমোদনবিহীন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সনদ দাখিল করেছেন, যা ভুয়া এবং অবৈধ বলে মন্তব্য করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
এ ছাড়া ভুয়া বিল-ভাউচারসহ শামসুল আলমের অনৈতিকতার বিষয়েও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। লিখিত অভিযোগে তাঁরা জানান, আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক রাতারাতি কমিটি ভেঙ্গে পকেট কমিটি গঠন করে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সুজানগরের সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামসুল আলমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ছাড়া তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও প্রতিবেদককে জানান।