শেরপুরের নয় স্থানে সোমবার ঈদুল আযহা পালিত

হাকিম বাবুল, শেরপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের সাথে মিল রেখে বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও শেরপুরের ৯ স্থানে ১২ সেপ্টেম্বর সোমবার পৃথকভাবে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পর্দা করে নামাজে অংশ নেন। তবে সমাজবদ্ধ কোরবানীর প্রথা প্রচলিত থাকায় আজ কোন কোরবানি সম্পন্ন হয়নি। আজ সারাদেশের সাথে একযোগে তারা কোরবানি আদায় করছেন।

new-image
শেরপুরের নয় স্থানে সোমবার ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে।

শেরপুর সদরের উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, মুন্সীরচর, বামনের চর, গাজীরখামার গিদ্দা পাড়া গ্রামে পৃথকভাবে ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া গ্রামে নারী-পুরুষের মাঝখানে পর্দা দিয়ে একসাথে অনুষ্ঠিত আগাম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মোতালেব। একই উপজেলার গোবিন্দনগর চিনামারা গ্রামে আরও একটি বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুফতি হাফিজুল ইসলাম ইমামতি করেন। তিনি জানান, আমরা সৌদি আরবের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করলেও কোরবানি করবো আজ মঙ্গলবার। যেহেতু শরিকের কোরবানি, তাই সবার সাথে মিলে কোরবানি করবো। কোরবানির সময়তো তিন দিন পর্যন্ত থাকে।

নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামেও ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই শতাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মো. সারোয়ার জাহান। এখানে মহিলারাও ঈদের নামাজে অংশ নেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল গ্রামে আরও একটি আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে পৃথক এসব স্থানে মুসল্ল¬ীরা পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। প্রত্যেকটি ঈদের জামাতে দেড়/দুইশ’ লোক অংশ নেয়। নামাজের পর পারস্পরিক কোলাকোলি শেষে তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে।

বিগত কয়েক বছর যাবত শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদান ও পীরভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে দুই ঈদ ও রমজানের রোজা পালন করে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.