রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): ঈদ উল আযহার দীর্ঘ ছুটির পর লঞ্চ-স্টিমারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে উপকূলের মানুষ। কাউখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। লঞ্চঘাট, স্টীমারঘাটে এখনও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। কাউখালী লঞ্চঘাট ও স্টিমারঘাটে শনিবার ঢাকামুখী কত যাত্রী কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তার সঠিক হিসাব রাখা কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে কাউখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৬টি লঞ্চ ও ১টি স্টিমার। বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার বাঙালীতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না যা দেখে মনে হয়েছে ঈদের পর সর্বাধিক পরিমাণ ঘরে ফেরা মানুষ এদিন কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। স্টিমার ও লঞ্চে শতাধিক যাত্রী উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে টিপু-১২, অগ্রদুত প্লাস, আসা যাওয়া, মনিংসান-৫, অভিযান, পূবালী লঞ্চে তিল ধরনের জায়গা নেই। অতিরিক্ত যাত্রী ও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে কাউখালী ঘাট ত্যাগ করে লঞ্চগুলো। এরপরও রয়েছে ছোট-বড় ২০টি লঞ্চঘাট। অপর দিকে কাউখালী বাস দূরপাল্লার বাসগুলোতে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বোঝাই করার পরও তাদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস কাউন্টারের লোকজন।
লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যাত্রীদের দিক বিবেচনা করে বর্তমানে প্রথম শ্রেণি ডাবল কেবিনের ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২ হাজার ২শ’ টাকা, সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ডেকের ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা করে।
সরকারি (বিআইডব্লিউটিসি) স্টিমার এম.ভি বাঙালী মোড়লগঞ্জ, মাছুয়া, হুলার হাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কাউখালীতে ঘাট দিলেও স্টিমারে ছিল যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড়।
কাউখালী রাজাপুর, স্বরুপকাঠী, ঝালকাঠীর একাংশের হাজারো মানুষ কাউখালী লঞ্চ স্টেশন থেকে যাতায়াত করে থাকে। এ কারণে ভিড় একটু বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।