স্বপন কুমার কুন্ডু, পাবনা: দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পাবনার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। অনেকে এক হাজার ২০০ টাকায় চামড়া কিনে শেষ পর্যন্ত ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। পাবনার বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে ঈদের দিন সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এরপর তা নিয়ে তারা বিভিন্ন আড়তদারদের কাছে যান চামড়া বিক্রির জন্য। টেবুনিয়ার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী রিপন আলী বলেন, ‘একটি গরুর চামড়া এক হাজার ৫০০ টাকায় কিনে তা এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণটা অনেক কঠিন। তাই যত দ্রুত সম্ভব তা বিক্রি করে দিতে হবে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে ট্যানারির এজেন্টরা।’
মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, গতবারের চেয়ে এবার একটি চামড়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। ট্যানারির এজেন্টরা সবাই একজোট হয়ে দাম কম দিচ্ছে। দেড় হাজার টাকার চামড়া এক হাজার ২০০ টাকা দিচ্ছে। একরকম টানা-হেঁচড়া করেই চামড়া নিয়ে যাচ্ছে এজেন্টরা।
পাবনা শহরের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মো. জ্যাকি খান জানান, তিনি এক হাজার ২০০ টাকা করে ছয়টি চামড়া কিনে ৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। তবে আগে থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সেটা মানতে চাচ্ছেন না বলে জানান আড়তদারা।
কয়েকজন আড়তদার এজেন্ট দাবি করেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি ছোট চামড়া দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দাবি করছেন তারা। এ জন্য তাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। যে চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা, তা কিনতে হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকায়।
উল্লেখ্য, চামড়ার ব্যবসা সংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যবসা সংগঠন গত ৯ সেপ্টেম্বর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়।
এতে রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, রাজধানীর বাইরে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বকরির চামড়া দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ও মহিষের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।