হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরে দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাত মামলায় সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী এবং তার সময়কালের দুই নারীসহ সাবেক ৬ মেম্বারের (ইউপি সদস্য) জামিন আবেদন দায়রা আদালতেও না-মঞ্জুর হয়েছে। রবিবার দুপুরে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার জামিন আবেদন নাকচ করে আগামী ২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। একইসাথে মামলাটি বিচারের জন্য জামালপুরে দুদকের বিশেষ আদালতে প্রেরণের আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক ইউপি মেম্বার মো. বয়তুল্লাহ, মোশারফ হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সাবেক সংরক্ষিত সদস্য হাজেরা বেগম ও ইসমত আরা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কামারিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী ও ৭ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় ৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলের উপ-সহকারী পরিচালক কমল কুমার রায়ের দায়ের করা ওইসব মামলায় বিভিন্ন প্রকল্পের ৬৪ লাখ ৫ হাজার ৬৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
মামলাগুলো দায়েরের পর আসামিরা উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পন করে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে যায়। এদিকে, ৭টি মামলার মধ্যে ৬টিতেই তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল উপ-সহকারি পরিচালক মোস্তফা বুরহান উদ্দিন আহম্মদ ৩১ মে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে আসামিদের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্থায়ী জামিনের প্রার্থনার বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে নিম্ন আদালত তা নাকচ করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী এবং দুই মহিলা মেম্বারসহ সাবেক ৬ ইউপি মেম্বার জেলা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।