হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত রাকিবুল হাসান (২০) নামে এক পুলিশ সদস্য খুন হয়েছেন।
সোমবার সকালে পুলিশ লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে রাস্তার পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটির নিচ থেকে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে কনস্টেবল রাকিবুলের মাথা-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশের ধারণা, রোববার রাত থেকে সোমবার ভোরের মধ্যবর্তী কোনো একসময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কে বা কারা হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
পুলিশ লাইনের রির্জাভ অফিস সুত্রে জানা গেছে, রাকিবুল হাসানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার শৈলকুড়িয়া গ্রামে। তার বাবা মো. শাহজাহান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশ থাকেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর রকিবুল পুলিশের চাকরিতে পেয়ে প্রথম যোগদান করে শেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
তার ব্যাচম্যাট ও পুলিশ লাইনের অন্যান্য কনস্টেবলরা জানায়, রাকিবুল খুবই সহজ-সরল ছিলেন ও নিরিবিলি থাকতেন। তার কোনো শত্রু থাকতে পারে এমনটা কেউ ভাবতে পারছেন না।
জেলা পুলিশের সব শীর্ষ কর্মকর্তা, সিআইডি, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ লাইনের পাশেই পুলিশ সদস্য খুন হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। পুলিশ লাইন সংলগ্ন ‘নীলার মা’ নামে পরিচিত মিনু বেগমের বাড়িতে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশ বাড়ির মালিক মিনু বেগমকে বাড়িতে না পেলেও পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহর থেকে তাকে আটক করেছে।
তবে প্রাথমিক তদন্তের আগেই এখনই পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি সদর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।