জাহিবা হোসাইন, মোংলা (বাগেরহাট): সুন্দরবনের চান্দেশ্বর এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে আবারও ২০টি মাছ ধরার নৌকাসহ ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী। অপহৃত জেলেদের বাড়ি পিরোজপুর ও পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানা গেছে।
জেলে-মহাজন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর এলাকায় ইলিশ মাছ শিকার করছিল জেলেরা। এ সময় সেখানকার জেলে বহরে হামলা চালায় সশস্ত্র বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা।
দস্যুরা ইলিশ মাছ বোঝাই ২০টি নৌকা-ট্রলার ও ১০ জন জেলেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করে নিয়ে যায়। জেলে-মহাজনেরা জানায়, মাছ বোঝাই ট্রলারের জেলেদের ছেড়ে দিয়ে যেসব নৌকায় পর্যাপ্ত মাছ ছিলনা সেসব নৌকা থেকে ১ জন করে জেলে তুলে নিয়ে যায় দস্যুরা।
অপহৃত জেলেদের কাছে মুক্তিপণ বাবদ জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেছে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী। সম্প্রতি সুন্দরবনের বড় বড় কয়েকটি দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পন করলেও কোনভাবেই কমছে সাগর-সুন্দরবনের দস্যুতা। বড় বাহিনীগুলো আত্মসমর্পন করার পর থেকে সুন্দরবনে বেপরোয় হয়ে উঠেছে বনদস্যু সাগর ও জাহাঙ্গীর বাহিনী বলে অভিযোগ করেন জেলে-মহাজনেরা।
এই দস্যু বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকা হতে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জেলে অপহরণ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। শত চেষ্টা চালিয়েও প্রশাসন এ দুই দস্যু বাহিনীর অবস্থান নির্ণয় ও তাদেরকে প্রতিহত করতে পারছে না।