জাহিবা হোসাইন, মোংলা (বাগেরহাট): সুন্দরবনে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে ও দস্যু দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে র্যাব-০৮। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য দস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা জেলেদের উদ্ধার এবং বেপরোয়া হয়ে ওঠা ডাকাতদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের সফলতা না আসা পর্যন্ত পুরো সুন্দরবন জুড়ে চলবে এ অভিযান বলে জানিয়েছেন র্যাব।
র্যাব-০৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, সুন্দরবনের বড় বড় কয়েকটি দস্যু বাহিনী তাদের অপকর্ম ও অপরাধের ভুল বুঝতে পেরে সম্প্রতি অস্ত্র গোলাবারুদ র্যাবের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করেছেন। এই সুযোগে কয়েকটি বাহিনী সুন্দরবনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত মুক্তিপণ আদায় ও মুক্তিপণের জন্য নিরীহ জেলেদের অপহরণ করে চলেছে। অপহৃত এ সকল জেলেদের উদ্ধার ও ওই সকল দস্যু বাহিনীকে আটকের জন্য বিশেষ এ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও দস্যুদের আটক করতে আমরা সক্ষম হবো। জেলে-মহাজন সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক জেলেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপরহণ করেছে দস্যুরা। বনদস্যু জাহাঙ্গীর, সাগর, বাকী বিল্লাহ ওরফে নোয়া ও আলিফ বাহিনী মুক্তিপণের দাবিতে গত দুই সপ্তাহে প্রায় দেড় শতাধিক জেলেকে অপহরণ করেছে। এরমধ্যে কিছু জেলেকে মুক্তিপণ দিয়ে স্ব স্ব মহাজনেরা ছাড়িয়ে আনলেও বেশিরভাগ জেলেই রয়ে গেছে দস্যুদের জিম্মায়। এদিকে র্যাবের এ বিশেষ অভিযানের খবরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে-মহাজনদের মাঝে।