মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদরের দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুল আসামি গ্রেফতার করে হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে। একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. সুমন হলেও তারস্থলে মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি সুমন এবং নিরপরাধ মনিরের বাড়ি পৃথক হলেও শুধুমাত্র পিতার নামে মিল থাকার অজুহাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
মনিরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী আবুল কালাম বৃহস্পতিবার বিকালে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি দৈনিক পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সদর উপজেলার কালিদাসেরবাগ গ্রামে জমি নিয়ে আবুল খায়ের ও আবুল কালামদের বিরোধ চলে আসছে। এ কারণে খায়ের ও তার লোকজন কালাম পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। একই এলাকায় ২০০৭ সনে সংঘঠিত একটি ঘটনায় সরদার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে মো. সুমনকে (৩৩) আসামি করা হয়। ওই মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি সুমন পলাতক রয়েছে। এদিকে উদ্দেশ্যেমূলক হয়রানির জন্য আবুল খায়েরের সহযোগিতায় দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে নিরপরাধ মনির হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করেন। পরদিন মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকালে সুমনের গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে ওই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই অরুণ কুমার চাকমা মনির হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করেন।
লক্ষ্মীপুর আদালত সূত্রে জানা যায়, পুলিশি হয়রানির প্রতিকার চেয়ে আবুল কালাম বুধবার লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি আবেদন করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আসামির নাম-ঠিকানা ও সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যাচাই-বাছাই করে সঠিক আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।