জাহিবা হোসাইন, মোংলা (বাগেরহাট): মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় মোংলা বন্দরে একটি বিদেশী জাহাজ আটকা পড়েছে। আমদানিকারকের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সাইপ্রাসের পতাকাবাহী এমভি বোরা নামক ওই জাহাজটিকে আটক করার নির্দেশ দেয়। জাহাজটি বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, যশোরের নওয়াপাড়ার মেসার্স রফিকুল ইসলাম নামক কোম্পানির ইউক্রেন থেকে আমদানি করা প্রায় ২৮ হাজার মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি বোরা জাহাজটি গত ২ আগষ্ট চট্রগ্রাম বন্দরে আসে। এরপর ওই বন্দরে মাস খানেক ধরে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ৬শ মেট্রিক টন গম খালাস শেষে গত ১০ সেপ্টেম্বর জাহাজটি মোংলা বন্দরে ভেড়ে। এখানেও জাহাজটি প্রায় মাস খানেক ধরে অবস্থান করে সাড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন গম খালাস করে।
শনিবার বিকেলে জাহাজটি হতে গম খালাস কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জাহাজটি চট্টগ্রাম ও মোংলা এ দু’বন্দরে অবস্থানকালীন সময় ক্রেনের ধীরগতিসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পণ্য খালাস কাজ দারুণভাবে বিলম্বিত হতে থাকে। সাধারণত এ পরিমাণ গম দুই বন্দরে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে খালাস হওয়ার প্রথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা খালাস করতে প্রায় দু’মাসের অধিক সময় লেগে যায়। এতে বড় ধরনের অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রফিকুল ইসলাম।
গমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বুধবার উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা দায়ের করে। আদালত মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জাহাজটিকে মোংলা বন্দরে আটক রাখার আদেশ দেয়। মোংলা বন্দর কর্র্তৃপক্ষের কাছে এ আদেশ আসার পর রবিবার জাহাজটিকে নজরদারীতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, মামলা জটিলতায় মোংলা বন্দরে এমভি বোরাসহ বর্তমানে ৩টি জাহাজ আটক রয়েছে। এর আগে মামলার কারণে বিদেশী জাহাজ এমভি মিনিমাস ও এমভি জলবাহিনীকে আটক করা হয়। জাহাজ দু’টি মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে এ বন্দরে।