মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া এলাকায় রোববার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার দেলোয়ার হোসেন রাজন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
একাধিক মামলার আসামি রাজনকে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে গত ৪ অক্টোবর সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। গভীর রাতে রাজনকে নিয়ে উত্তর কেরোয়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে পুলিশের সঙ্গে রাজনের সহযোগী ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে রাজন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রাজন কেরোয়া গ্রামের নাগেরদিঘীরপাড় এলাকার লালগাজি পাটওয়ারী বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় ১১টি ও রামগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য রাজনের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, পুলিশ আগেও রাজনকে অস্ত্রসহ তিন বার গ্রেফতার করে। সর্বশেষ রোববার রাত ১০টার দিকে রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসপির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। গভীর রাতে তাকে নিয়ে উত্তর কেরোয়া গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে পুলিশের সঙ্গে রাজনের সহযোগী ডাকাতদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজন গুরুতর আহত হয়। তাকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর রাতে সিলেট রেঞ্জ পুলিশের আরআরএম কমান্ড্যান্ট (এসপি) মাহমুদুর রহমান সেলিমের রায়পুরের পূর্ব কেরোয়ায় অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ সময় ডাকাতরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার মা আনোয়ারা বেগম ও বাবা আব্দুল কাদেরকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ নিয়ে পর দিন এসপির ভাই মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন