প্রতিনিধি, খুলনা: বোমা মেরে ঝালকাঠিতে বিচারক হত্যার মামলায় জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি আগামীকাল রোববার কার্যকর হবে। রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। আসাদুলের ফাঁসির রায় কার্যকর উপলক্ষে খুলনা জেলা কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর-ই-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেএমবি নেতা আসাদুলের ফাঁসি কার্যকরের প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন।
২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ এ হত্যা মামলার রায়ে সাতজনের ফাঁসির আদেশ দেন। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ এ মামলার আসামি জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুকের ফাঁসি হয়। ওই বছরের ৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি এই ছয় জঙ্গির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হন। এরপর আপিল করেন আরিফ। ২৮ আগস্ট রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এর আগে ২০০৩ সালের ১০ মে মাসে খুলনা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়।