প্রতিনিধি, বাগেরহাট: সোমবার ভোররাতে বাগেরহাটের মোল্লাহাটের উদয়পুর ইউনিয়নের উত্তরকান্দী গ্রামে জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর রাতে আসাদুলের মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ি উত্তরকান্দী গ্রামে আনা হয়। এ গ্রামের কাওসার মোল্লার মেয়ে খাদিজা বেগমের সাথে নয় বছর আগে আরিফের বিয়ে হয়। তার শ্বশুরের আবেদনে ও আরিফের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী এ গ্রামে তার দাফন করা হয়েছে।
২০০৫ সালে ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যার মামলার রায়ে রোববার রাতে খুলনা জেলা কারাগারে আসাদুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে মরদেহ হস্থান্তর করে।
দাফনের সময় তার বাড়ি বরগুনা সদরের বান্দরগাছি গ্রামের কয়েকজন নিকটাত্মীয় ও শ্বশুর, শ্যালকসহ ১৭/১৮ জন উপস্থিত ছিলেন।
২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ সাত জনের ফাঁসির আদেশ দেন। এর আগে এ মামলার আসামি জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইসহ ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আরিফ ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার হয়। এরপর আপিল করেন আরিফ। গত ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।