মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী ও চর গঙ্গামতি গ্রামের ২৭ জেলে পরিবারের জন্য বরাদ্দ প্রায় দুই টন চাল লোপাটের ঘটনায় দীর্ঘ দিনেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অন্যায়ভাবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ এসব চাল অন্যত্র বেচে দিয়েছেন বলে পরিবারগুলো লিখিত অভিযোগ করলেও তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ দিনেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দেননি।
জাটকা শিকার থেকে বিরত রাখার জন্য এসব তালিকাভুক্ত জেলে পরিবারকে সরকারি সহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিল মাসে চাল পেলেও মে ও জুন মাসের চাল পাননি তারা। ওই সময় তালিকাভুক্ত অন্যান্য জেলেরা চাল পেয়েছিলেন।
বঞ্চিত জেলেরা এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তারা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য তাদের চাল বিতরণের প্রতিটি স্লিপ ২০০-৩০০ টাকার বিনিময় অন্যদের কাছে বেচে দেন। এভাবে তাদের জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ১৬০ কেজি চাল অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে।
তবে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। কলাপাড়া উপজেলার তখনকার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দীপক কুমার রায় অভিযোগটির তদন্তভার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে দেন। কামরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি।
ছয় ওষুধ বিক্রেতাকে জরিমানা
ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা এবং অননুমোদিত ওষুধ বিক্রির অভিযোগে কলাপাড়ার ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় দোকানিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এসময় কিছু ওষুধ জব্দ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডিতরা হলেন, হুমায়ুন কবির, মনিরুজ্জামান, রাকিব, মাওলানা আব্দুস সালাম, কাওছার মিয়া ও আনোয়ার হোসাইন।