খুলনা প্রতিনিধি: ভাঙা কলসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দশজন নারী। কলসিতে লেখা “জলবায়ু তহবিলের অর্ধেক টাকা পানি ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হয়েছে। আমার পানি কই?” উপকূলীয় অঞ্চলে নোনা প্রভাবিত অঞ্চলে পানীয় জলের সংকট নিরসনের দাবিতে এক অভিনব প্রতিবাদ জানানো হলো এভাবেই। বৃহস্পতিবার সকালে উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) সারা বিশ্বে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছিলো। কিন্তু অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির কারণে এ তহবিল থেকে তেমন কোনো সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এ তহবিল থেকে ৩৬৪টি প্রকল্পে ২৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই বলেই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রতিবেদন দিয়েছে। এ তহবিল থেকে শুধুমাত্র পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ৪৯ শতাংশ অর্থ পানি ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া খুলনায় ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও পানি সরবরাহে ব্যয় করা হয়েছে মাত্র একটি প্রকল্প। নিরাপদ পানি সরবরাহের উক্ত প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও পুরো উপকূল জুড়ে নিরাপদ পানির জন্য হাহাকার রয়ে গেছে আগের মতোই।
বক্তারা পানি বিষয়ক প্রকল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং পানি সরবরাহ খাতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
ক্লিন-টিআইবি-সনাক ওয়ার্কিং গ্রুপের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল সিংহ রায়, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির শেখ আব্দুল হালিম, স্বজন সদস্য ডা. এস. কে সাহা, টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার ফিরোজ উদ্দীন, আশরাফুল আলম, ইয়েস সদস্য সুস্মিত সরকার, ক্লিন-খুলনার নাসিম রহমান কিরন, সূবর্ণা ইসলাম দিশা প্রমুখ।