হাকিম বাবুল, শেরপুর: একই জমিতে বারবার ফসল চাষ করায় মাটির ওপর চাপ পড়ছে। ফলে মাটিতে বিভিন্ন অজৈব উপাদানের পাশাপাশি ব্যাপকহারে জৈব পদার্থের ঘাটতি হচ্ছে। এতে করে মাটির উর্বরতা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য কৃষিজমিতে বেশি করে জৈবসারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিষমুক্ত ও অধিক ফসল ফলাতে জৈবসারের বিকল্প নেই। শেরপুরের নকলায় কৃষিজমিতে জৈবসারের ব্যবহার সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার নকলা বিআরডিবি মিলনায়তনে স্থানীয় চাষী, খুচরা সার ও কীটনাশক বিক্রেতা এবং মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে জৈবসার প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান ‘মাজিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.’ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
এতে কোম্পানির পরামর্শক কৃষিবিদ শরিফুর রহমান প্রধান অতিথি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শেখ মোগলজান রহমান মিঠু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সার ডিলার জয়নুল আবেদীন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, আদর্শ কৃষক আব্দুল মন্নাফ খান, রোকন কুমার সরকার প্রমুখ।
ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ সোহেল তালুকদারের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা এবং বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে জৈবসারের বিকল্প নেই। মাজিম এগ্রো উৎপাদিত ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত ‘মাজিম জৈবসার’ অনুর্বর মাটিকে উর্বর করে এবং মাটির উর্বরা শক্তিকে দীর্ঘস্থায়ী করে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করে। পাশাপাশি ফসলের ফলন এবং গুণগতমান বৃদ্ধি করে। এ সার বীজ বপন বা চারা রোপনের আগে জমিতে ছিটিয়ে প্রয়োগ করা যায়। তাছাড়া ফসলের শারীরিক বৃদ্ধির সময় ম্যাগনেসিয়াম ও সালফারের অভাব দেখা দিলে উপরি প্রয়োগ হিসেবে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে গাছ ভিজিয়েও দেওয়া যায়। সঠিক মাত্রায় প্রয়োগে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং পরিবেশের ওপর এর কোন বিরূপ প্রভাব পড়ে না।
মতবিনিময় সভায় নকলার বিভিন্ন কৃষি ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, সার ব্যবসায়ীসহ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন। পরে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের মাঝে মাজিম কোম্পানীর এক কেজি করে জৈবসার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।