রতন সিং, দিনাজপুর: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মনোনয়ন পেতে ব্যাপক লবিং গ্রুপিং করা শুরু করছেনে। কে হবেন দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা হিসাব নিকাশ। ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের উপর।
তবে নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যাদের নাম এ ক্ষেত্রে আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত শরিফুল আহসান লাল এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমর্থন আদায় করতে সক্রিয় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আশফাক হোসেন। তাঁকেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থী হিসেবে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের নামও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খালিকুজ্জামান বাবু ও জেলা বিএনপির নেতা এজেডএম রেজওয়ানুল হকের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অধিকাংশ নেতাকর্মী খালিকুজ্জামান বাবুকে সমর্থন করছেন।
জাতীয় পার্টির নেতা ও স্বপ্নপুরির স্বত্ত্বাধিকারীর দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘দলীয় সিদ্ধান্তে আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিক কিংবা না দিক তবে আমি অবশ্যই প্রার্থী হবো। ইনশাআল্লাহ আশা করি এই নির্বাচনে আমি জয় লাভ করব।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী থাকবে কিনা এ নিয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খালিকুজ্জামান বাবু বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্তের উপর সব কিছু নির্ভর করছে। আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষমতাসীন দলের একজন ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সুবিধাবাদীদের ভিড়ে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতারা সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আসন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের মাঝে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা যাচ্ছে।
কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় আলোচনার পর একজন প্রার্থীর নাম দলীয় সভানেত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। পরে সভানেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা নির্বাচন অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান জানান, আমরা জেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছি। অচিরেই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।